ব্যাকলিংক কাকে বলে ও কিভাবে করবেন?

 

আপনি যদি ব্লগিং করে থাকেন বা ব্লগিং নিয়ে ঘাটাঘাটি করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই ব্যাকলিংক এর নাম শুনে থাকবেন। ব্যাকলিংক নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।যেমন ব্যাকলিংক কাকে বলে? ব্যাকলিংক কিভাবে তৈরি করতে হয়? কিংবা ব্যাকলিংক ওয়েবসাইটের জন্য ভালো না খারাপ? এবং ব্যাকলিংক তৈরি করার পর কিভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক চেক করবেন।এই সকল বিষয় আপনি জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে। এক কথায় বলা যেতে পারে আপনি লিঙ্ক বিল্ডিং বা ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে যাচ্ছেন।আমার মনে হয় না আপনি ব্যাকলিংক বা লিংক বিল্ডিং সম্পর্কে এরচেয়ে ভালো করে আর কোথাও জানতে পারবেন।তাই এই আর্টিকেল টির শুরু থেকে শেষ অবধি পড়তে থাকুন।

ব্যাকলিংক কাকে বলে ও কিভাবে করবেন?

 

ব্যাকলিংক কাকে বলে বা ব্যাকলিংক কি?

ব্যাকলিংক হলো আপনার ওয়েবসাইটের সাথে অন্য একটা ওয়েবসাইটের যোগাযোগ সংযোগ বা কানেকশন বলতে পারেন। যদি আরও বুঝিয়ে বলি ব্যাংকলিংক হলো আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক অন্য যেকোনো ওয়েবসাইট থাকা। আপনি হয়তো অনেক জায়গায় লিংক বিল্ডিং এর নাম শুনে থাকবেন লিংক বিল্ডিং এর ব্যাকলিংক একই কথা। অর্থাৎ ব্যাকলিংক এর অপর নাম লিংক বিল্ডিং। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ব্যাকলিংক বা লিংক বিল্ডিং কি।

ব্যাকলিংক কেনো করবেন?

আপনি অবশ্যই চান আপনার  টার্গটেড কিওয়ার্ড বা আপনার আর্টিকেল রেংক করাতে গুগলে। গুগলে কিওয়ার্ড বা আর্টিকেল রেংক  করার জন্য ২০০ টিরও বেশি ফ্যাক্টর রয়েছে।বিশ্বের যারা বড় বড় এসইও এক্সপার্ট রয়েছে তাদেরকে একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল যে এই ২০০টি রেংকিং ফ্যাক্টর এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন রেংকিং ফ্যাক্টরটি বা একটি ওয়েবসাইটকে রেংক করাতে কোনটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি? তারা সবাই বলেছিলো ব্যাকলিংক।তাছাড়াও আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ফ্রিতে ট্রাফিক/ভিজিটর নিতে চান তাহলে ব্যাকলিংক আপনার জন্য খুব ভালো একটা উপায়।

ব্যাকলিংক ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতিকর কেনো?

আপনার মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে এতক্ষণ ধরে জানলেন ব্যাকলিংক ওয়েবসাইটের জন্য অনেক ভালো। তাহলে ব্যকলিংক আবার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতিকর কেনো?হ্যা, কিছু ব্যাকলিংক আছে যা আপনার ওয়েবসাইটের তো কোনো কাজেই আসে না বরং আরো খারাপ বয়ে আনে।আপনি যদি কোনো নতুন ওয়েবসাইটের সাথে অর্থাৎ যেই ওয়েবসাইটের ডিএ অনেক কম এবং কোয়ালিটি ফুল কন্টেন্ট না থাকে সেই সকল ওয়েবসাইটের সাথে ব্যাকলিংক করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের স্পাম স্কোর বাড়িয়ে দিবে। যা মোটেই ভালো কোনো বিষয় নয়।

ব্যাকলিংক কিভাবে করবেন?

আপনি চাইলে নানাভাবে ব্যাকলিংক করতে পারেন। তবে ব্যাকলিংক করার বেশ কিছু জনপ্রিয় উপায় রয়েছে। যেই উপায় গুলো এখন আমি আপনাকে বলবো। ব্যাকলিংক করার অন্যতম একটি জনপ্রিয় উপায় হলো গেস্ট পোস্ট করা। গেস্ট শব্দটার নাম শুনে বুঝতে পারছেন আপনাকে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে গিয়ে আর্টিকেল লিখে দিতে হবে সেই আর্টিকেল এর মধ্যে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক টা দিয়ে দিবেন সেটাই হলো গেস্ট পোস্টিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক নেওয়া।অনেক সময় দেখা যায় যেই ওয়েবসাইটগুলো বেশি কোয়ালিটিফুল সেই ওয়েবসাইটে আপনাকে ব্যাকলিংক নেওয়ার জন্য পোস্ট তো করে দিতেই হবে তার সাথে সাথে ওয়েবসাইটের মালিককে আপনার কিছু পে করতে হবে।

ব্যাকলিংক কাকে বলে ও কিভাবে করবেন?

তারপর ব্যাকলিংক তৈরি করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়টি হলো প্রোফাইল ব্যাকলিংক। প্রোফাইল ব্যাকলিংক হলো আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের একটা প্রোফাইল খুলবেন সেই প্রোফাইলে এবাউট সেকশনে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক টা দিয়ে দিবেন সেটাই হলো প্রফাইল ব্যাকলিংক আর প্রোফাইল ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটে দিয়ে বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।তারপর আপনি চাইলে কমেন্টের মাধ্যমে ব্যাকলিংক করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি অন্য ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে কমেন্ট বক্স দেখতে পাবেন। সেই কমেন্ট বক্সে আপনি যেকোন একটা সুন্দর কমেন্ট করবেন। তারপর সুন্দর কমেন্টের মধ্যে আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক টা দিয়ে দিবেন। এটাকেই বলা হয় কমেন্ট ব্যাকলিংক।

কোন ওয়েবসাইটের সাথে এবং কি ধরনের ব্যাকলিংক করবেন? 

ব্যাকলিংক করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো আপনার ওয়েবসাইটের টপিক। আপনি   ব্যাকলিংক করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে টপিক অনুযায়ী যেই সকল ওয়েবসাইট রয়েছে সেই ওয়েবসাইটের একটা তালিকা তৈরী করবেন। তারপর সেই ওয়েবসাইটে মালিকের সাথে যোগাযোগ করে গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে ও কমেন্টের ব্যাকলিংক নিতে পারেন। তবে আপনি প্রোফাইল ব্যাকলিংক যে কোনো ওয়েব সাইটের সাথে করতে পারেন।এখন আসি আপনি কোন ধরনের ব্যাকলিংক নিবেন।আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন ডুফলো ব্যাকলিংক নেওয়ার জন্য। কারণ ডুফলো ব্যাকলিংক যে ওয়েবসাইটের সাথে করবেন সেই ওয়েবসাইটের যদি ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটেরও ডোমেইন অথরিটি বেড়ে যাবে। তাহলে কি নকল নো ফলো ব্যাকলিংক কোন কাজে লাগে না? নো ফলো ব্যাকলিংক ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে  এসইও এর ক্ষেত্রে।

ব্যাকলিংক কিভাবে চেক করবেন? 

আপনি ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক করেছে এখন কিভাবে সেই ব্যাকলিংক চেক করবেন।আপনি অনেকগুলো মাধ্যমে ব্যাকলিংক চেক করতে পারেন। আপনি চাইলে পেইড টুলস দিয়ে ব্যাকলিংক চেক করতে পারেন কিংবা ফ্রী  টুলস ব্যবহার করেও ব্যাকলিংক চেক করতে পারেন।ধরে নিচ্ছি আপনি ফ্রী টুলস দিয়ে ব্যাকলিংক চেক করবেন। ফ্রী টুলস দিয়ে ব্যাকলিংক চেক করার জন্য আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন “Free backlink Checker”.তাহলে আপনার সামনে ওয়েব গুলো ওয়েবসাইট চলে আসবে এবং আপনি সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক পেস্ট করে ব্যাকলিংক চেক করতে পারবেন।

ব্যাকলিংক নিয়ে কিছু কথা ! 

ব্যাকলিংক তৈরী করে আরো অনেকগুলো উপায় রয়েছে।আমি এখানে তিন থেকে চারটি উপায় সম্পর্কে অবগত করেছি। বাকি উপায় গুলি সম্পর্কে অবগত করেনি তার কারণ হলো ২০২১ সালে এসে বাকি উপায়গুলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে তেমন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না। বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন যাতে তারাও ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sharing Is Caring:

2 thoughts on “ব্যাকলিংক কাকে বলে ও কিভাবে করবেন?”

Leave a Comment

Back
WhatsApp
Telegram
Skype
Messenger
Viber
Email