মোবাইলে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ২০২৩ করার নিয়ম

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন –একজন শিশু জন্মগ্রহণ করলে তার একটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। আর এই সার্টিফিকেটের নাম হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন। আপনি জন্মগ্রহণ করলে অবশ্যই আপনাকে এই নিবন্ধন করতে হবে। বিগত দিনে বাংলাদেশে এই নিবন্ধটি অফলাইনে ছিল। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে এখন এটি অনলাইনে চলে আসছে।

তাই আপনার শিশু অথবা আপনার জন্য কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ২০২৩ করবেন বা করার নিয়ম। সকল কিছু বিস্তারিত থাকছে আজকের এই টিউটোরিয়ালে। এবং এই নিবন্ধন করতে কি কি প্রয়োজন হবে কত টাকা প্রয়োজন হবে। সবকিছু থাকছে বিস্তারিত।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

 

জন্ম নিবন্ধন বা সাটিফিকেট  কী? 

একেবারে সহজ ভাষায় যদি বলতে হয় এই সার্টিফিকেটটি হচ্ছে আপনার জন্মগত পরিচয় পত্র। আপনার নাম বয়স পিতার নাম মাতার নাম ঠিকানা সকল কিছু থাকছে এই সনদে।প্রাথমিক ভাবে এই সনদ টি দিয়ে থাকে স্থানীয় পৌরসভা,ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনের। যা মেয়র অথবা চেয়ারম্যান কতৃক সত্যায়িত থাকে।

জন্ম নিবন্ধন কেন প্রয়োজন? 

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য জন্ম নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেটটি প্রাথমিক জন্ম পরিচয় বহন করে। তবে এখন এই সনদটি ছারা কোন কাজই করা যায় না। প্রাথমিকে আপনার বয়স নির্ধারণের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আপনি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে পরিচয় পত্রের জন্য এই সার্টিফিকেটটি প্রয়োজন হবে। দেশের বাহিরে যেতে হলে আপনাকে একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। আর এই সাটিফিকেট  ছাড়া পাসপোর্ট করা অসম্ভব’। আপনি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে এটি প্রয়োজন হবে। সরকারি চাকরি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও ব্যাংক সকল যায়গায় এই সনদ টির গুরুত্ব অতুলনীয়। তাই এখনই দেখে নিন নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন  করতে কি কি প্রয়োজন? 

একজন শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন ডাক্তার কর্তৃক একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আর এই সার্টিফিকেটের নাম হচ্ছে “টিকা সনদ “। আর এটি প্রয়োজন হবে। এরপর শিশুর পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম সনদ প্রয়োজন হবে। যদি শিশুর জন্ম ২০০২ এর পরে হয়৷ শিশুর যদি কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জাতীয় পরিচয় পত্র থাকে তাহলে এটি প্রয়োজন হবে। এছারা শিশুর স্থায়ী বসতভিটা ও কারেন্ট বিল কাগজ লাগবে। আর বসতভিটার ট্যাক্স অবশ্যই পরিশোধিত হতে হবে।

  • * পিতা ও মাতার জন্ম সনদ (অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন হতে হবে)
  • *ডাক্তার কতৃক সত্যায়িত অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতৃক সত্যায়িত সাটিফিকেট প্রয়োজন হবে।

কেন নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন না? 

আসলে এটি হলো আপনার যদি কোন ডকুমেন্টস না থাকে তাহলে এটি করতে পারবেন না৷ যেমন -আপনার পিতা ও মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, আপনার কোন সার্টিফিকেট। এই দুইটি প্রত্যায়ন প্রয়োজন হবেই। তাই এটি ছারা জন্ম নিবন্ধন আবেদন করাই যাবে না৷

কিভাবে অনলাইন নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন? 

প্রথমে এই লিংক এ যান। https://bdris.gov.bd/br/application

 

এরপর একটি পেজ ওপেন হবে। যেখানে বলা হয়েছে আপনি আপনার নিবন্ধন কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন। এখানে ” জন্মস্থান”ক্লিক করে পরবর্তী ক্লিক করুন। 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

এরপর এখানে আপনার পরিচয় দিতে হবে। আপনার নাম বাংলা,ইংরেজি এবং জন্ম তারিখ। এরপর আপনার ঠিকানা দিতে হবে৷ (মনে রাখবেন আপনার নাম, জন্ম তারিখ অবশ্যই আপনার সাটিফিকেট অনুযায়ী হতে হবে।) এরপর পরবর্তী ক্লিক করুন।

জন্ম নিবন্ধন ২০২২

 

এখানে আপনার পিতা ও মাতার তথ্য দিতে হবে। যেমন -প্রথমে পিতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিন৷ এরপর দেখবেন পিতার নাম ও জাতীয়তা পূরন হয়ে যাবে। ঠিক একই ভবে মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার পূরন করলে তার তথ্য চলে আসবে। এরপর পরবর্তী ক্লিক করুন। 

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম

 

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ২০২২

 

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

 

এরপর নতুন পেজ ওপেন হবে৷ এখানে আপনি “কোনটিই নয় ” টিক দিয়ে। জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই টিক দিন৷এরপর পরবর্তী ক্লিক করুন।

এরপর আবেদনকারীর প্রত্যয়ন এখানে “নিজ” দিন৷ এবং মোবাইল নাম্বার দিন। এরপর নিচে সংযোজন ক্লিক করে আপনার “টিকা কাড এবং হোল্ডিং ট্যাক্স” এর স্কান কপি আপলোড করেন৷ আপলোড শেষ হলে পরবর্তী ক্লিক করুন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন

 

এখানে আপনার আবেদন ফরম সো করবে৷ সবকিছু ঠিক থাকলে সাবমিট ক্লিক করুন।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

 

এরপর আপনার আবেদন এর ফাইল চলে আসবে। এখন আপনি”আবেদন প্রিন্ট করুন “ক্লিক করে ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন

এখন আপনার অনলাইনে  জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা শেষ।

এরপর আপনাকে উক্ত আবেদন কপিগুলো ও প্রয়োজনীয় সাটিফিকেট  নিয়ে আপনার স্থানীয় পৌরসভা, ইউনিয়ন ও সিটিতে নিয়ে জমা দিতে হবে। সেখানে আপনাকে সনদ বাবদ -১০০টাকা দিতে হবে। এরপর আপনার কাজ শেষ।

কত দিন পর জন্ম নিবন্ধন হাতে পাবো? 

এটা নির্ভর করে আপনার উপর। যদি আপনি আবেদনটি সঠিক ভাবে করেন। যেমন -উপযুক্ত প্রমান সহ সাবমিট করেন। তাহলে ৩দিন সময় লাগবে। এরপর আপনি আপনার নিবন্ধন অফিস থেকে সাটিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।

শেষ কথা:উপরোক্ত এই বিষয়গুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে করেন। তাহলে কোন সমস্যা হবে না। সহজে আপনি আপনার সনদ হাতে পেয়ে যাবেন। এরপর কোন সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ৷

Sharing Is Caring:

Leave a Comment